ডেস্ক নিউজ :::
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) বলেছেন, ‘কিছু রাজনীতিবিদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব সম্পত্তি আর দেশের জনগণ তাদের সেবাদাস। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে, হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তাদের দলের অঙ্গসংগঠন। তাদের হুকুম মেনেই কোর্টকে কাজ করতে হবে।’
অলি আহমদ সোমবার তার দলে যোগদান করতে আসা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মিছিল-মিটিং এবং অহেতুক সমালোচনায় লিপ্ত। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করার জন্য আলটিমেটামও দেওয়া হয়েছে। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া হচ্ছে না; যা দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। ’
রাজধানীর ডিওএইচএস এলাকায় গতকাল সকালে তার বাসভবনে যোগদান অনুষ্ঠানে অলি আহমদ আর বলেন, ‘জনগণের ধারণা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টই হচ্ছে দেশ ও জনগণের শেষ ভরসাস্থল। এখন পর্যন্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ছাড়া অন্য কোনো বিচারপতিকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সেবাদাস বলে মনে করে না। ’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিম্ন আদালতগুলোকে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের জাঁতাকল থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক পদগুলোকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঠিক বাস্তবায়ন হবে। ’ কর্নেল অলি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রধান বিচারপতি আর সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘কোর্টের যে কোনো রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হবেন বা কেউ অসন্তুষ্ট হবেন— এটাই স্বাভাবিক। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইন অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আইনে তার বিধান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার মোহ ও লোভের কারণে আমরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। সবাই মনে করে নিজ নিজ জায়গায় কেউ নিরাপদ নয়।’
কর্নেল অলি আহমদ আরো বলেন, ‘বিগত বছরগুলোয় সংসদীয় গণতন্ত্রসহ আমরা একে একে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছি। সমগ্র জাতি আজ অধৈর্য, অস্থিরতা ও আস্থাহীনতায় ভুগছে। কারও প্রতি কেউ সামান্যতম শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধ দেখাতে চায় না।’
পাঠকের মতামত: